





চিত্রনায়িকা আরিফা পারভিন জামান ওরফে মৌসুমীর আদি বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজে’লার






তৈলকুপী গ্রামে। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান বিশ্বা’স (মৃ’ত)। মৌসুমীরা তিন বোন। সবার বড়






মৌসুমী। অ’পর দুই বোনের একজন ইরিন জামান (মেজ) ও ছোট বোন স্নিগ্ধা জামান। তাদের কোনো






ভাই নেই। বর্তমানে মেজ ও ছোট বোন জামাই যু’ক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।






প্রিয়দর্শিনী এ চিত্রনায়িকার ছয় চাচা ও চার ফুফু। চাচাদের মধ্যে জীবিত আছেন ছোট চাচা শহিদুজ্জামান। তিনি ঢাকার উত্তরায় ব্যবসা করেন। বাকিরা মা’রা গেছেন। তার দাদা মৃ’ত আদিলুজ্জামান বিশ্বা’স যুগিপুকুরিয়া বিশ্বা’স বাড়ি বসবাসকালে বাবা নাজমুজ্জামান বিশ্বা’স তৈলকুপী গ্রামের দুই একর ৬ শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বর্তমানে তার একমাত্র চাচাতো ভাই ইম’রান হোসেন, চাচি শফিকুন নাহার লিলি এবং পালিত ফুফু কোহিনুর বেগম বসবাস করেন।
গ্রামের বাড়িটি বর্তমানে দোচালা এসবেসটর দিয়ে ছাউনি ও ইটের গাঁথুনি। মৌসুমীর বাবা পা’কিস্তান আমলে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (কেডিএ) ঠিকাদারির কাজ করাকালে খুলনা সোনাডাঙ্গা এলাকায় জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। সোনাডাঙ্গার সেই বাড়িতেই মৌসুমী লালিত-পালিত হন। এই অ’ভিনেত্রীর নানা বাড়ি খুলনার খালিশপুর নিউজপ্রিন্ট মিল এলাকায়।
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর চাচি শফিকুন নাহার লিলি জাগো নিউজকে বলেন, ‘মৌসুমী ছোটবেলা থেকেই ঠান্ডা প্রকৃতির ছিল। গ্রাম্য পরিবেশে সে খুবই সাদামাটাভাবেই চলত। তার মনে কোনো অহংকার ছিল না। সে ছোটবেলাই গ্রামের বাড়ি এসে গাছে উঠে আম পেড়ে বেড়াত। মাঝে মধ্যে দুষ্টুমি করে আখবাগান থেকে আখ চু’রি করে কে’টে খেত। তবে মৌসুমী চিত্রনায়িকা হবে কখনও ভাবতে পারিনি। খুলনায় যাওয়ার পর মৌসুমীর মা শামীমা খাতুনের ইচ্ছেতেই সে চিত্রজগতে পা দেয়।’
মৌসুমীর চাচাতো ভাই ইম’রান (৩৫) জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমা’র গায়ের রঙ শ্যামলা হওয়ায় মৌসুমী আপা আমাকে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ বলে ডাকেন। আপা গ্রামে বেড়াতে আসতে চান, তবে গ্রামের বাড়িতে এলে ভক্তদের চাপ সামাল দেয়ার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় আসতে চান না। আম’রা চাই মৌসুমী আপা ও দুলাভাই চিত্রনায়ক ওম’র সানী মাঝেমধ্যে গ্রামে এসে এলাকার লোকজনের খোঁজ খবর নিক। আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত লোকদের সহায়তা করুক। কারণ এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তাদের নিরাপত্তার প্রয়োজনে আলগা বাড়িটির প্রাচীর দেয়া বিশেষ প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে তাদের দুই একর ৬ শতক জমির আমাকে দেখাশোনা করতে হয়। এ ভিটেবাড়িতে পুকুরসহ আম, জাম, নারিকেল, কলা, পেয়ারা, আমলকি, করমচা, লেবু, জলপাই, কাম’রাঙাসহ সব ধরনের ফল-ফুল গাছ আছে।’
গ্রামে এই চিত্রনায়িকার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমীর দাদা-দাদির গ্রামের বাড়ি যুগিপুকুরিয়া বিশ্বা’স বাড়িতে দুই একর ৬৮ শতক জমিতে শুধুমাত্র একটি কবরস্থান ছাড়া বাকি জমি তার দূর স’ম্পর্কের চাচাতো ভাইয়েরা ভোগদখল করেন। বর্তমান তার দূর স’ম্পর্কের চাচাতো ভাই আবু হাসান বিশ্বা’স সেই বাড়িতে বসবাস করেন।