





আজ ৮ জানুয়ারি ঢাকাই সিনেমার প্রয়াত নায়ক জাফর ইকবালের ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী। তাঁকে ঢাকার






সিনে জগতের আধুনিক ফ্যাশনের রূপকার হিসাবে সবাই চিনে। বলা হয়ে থাকে জাফর ইকবালের






ফ্যাশন সচেতনতা তাঁর সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। জাফর ইকবাল চিরসবুজ নায়ক হিসেবে






পরিচিত। শহুরে রোমান্টিক ও রাগী তরুণের ভূমিকায় দারুণ মানালেও সব ধরনের চরিত্রে ছিল তার






সাচ্ছন্দ্য বিচরণ। অভিনয়ের পাশাপাশি চমৎকার গান গাইতে পারা এ অভিনেতা বেশকিছু ছবিতে গায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৪ সালে আনোয়ার পারভেজের সুরে রাজ্জাক অভিনীত বদনাম ছবিতে ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’ তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত তিনি ছিলেন গিটারবাদক। ভালো গিটার বাজাতেন বলে সুরকার আলাউদ্দিন আলী তাকে দিয়ে অনেক ছবির আবহসংগীত তৈরি করিয়েছেন।
তার সেই ছবিগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে জাফর ইকবাল চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম আপন পর। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কবরী। জাফর ইকবালের সাথে অভিনেত্রী ববিতা জুটি হয়ে প্রায় ৩০টির মত ছবি করেন। সবমিলিয়ে তিনি প্রায় ১৫০টি ছবি করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার অনেক ধনীর দুলালের মত নিজেকে গুটিয়ে রাখেন নি তিনি। তিনি সরাসরি যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
১৯৮৯ সালে জাফর ইকবাল অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ছবি ‘অবুঝ হৃদয়’ দারুণ ব্যবসা সফল হয়। এ ছবিতে চম্পা ও ববিতার বিপরীতে তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। ববিতার সঙ্গে তার জুটি ছিল দর্শক নন্দিত। এই জুটির বাস্তব জীবনে প্রেম চলছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় হতাশ হয়েই জাফর ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জোর গুঞ্জন উঠেছিল। ববিতার বিপরীতে ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৯১ সালের ৮ই জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।