





জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে পথচলা শুরু হয় জনপ্রিয়






অভিনেত্রী পূর্ণিমার। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০) চলচ্চিত্রে






অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর






থেকে একটানা অনেক ছবিতে কাজ করেছেন এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির






বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে পূর্ণিমা। এর মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন অভিনয়






থেকে দূরে ছিলেন পূর্ণিমা। বেশ কিছুদিন বাদে সুস্থ হয়ে আবার ফিরছেন নিজের কাজে। আগামী ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ‘নূজহাত ফিল্মস’ ও নেয়ামুলের ‘ইচ্ছেমতো’ প্রযোজনা সংস্থার প্রযোজিত এবং নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং।ছবিতে একজন এনজিও কর্মীর চরিত্রে দেখা যাবে পূর্ণিমাকে। যেহেতু পূর্ণিমা একজন এনজিও কর্মী, তাই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় স্কুটিতে চড়ে ছুটে বেড়াতে হবে। আর তাই পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো শেখাচ্ছে বন্ধু ফেরদৌস। গেল শুক্রবার থেকে ফেরদৌস পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো শেখাচ্ছেন। টানা এক সপ্তাহ ফেরদৌস পূর্ণিমাকে স্কুটি শেখাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেন, ‘গাঙচিল’ গল্পের প্রয়োজনেই পরিচালক এবং প্রযোজকের আগ্রহকে কষ্ট হলেও আমি স্কুটি চালানো শিখছি। এর আগে স্কুটি বা সাইকেল চালানো কখনোই শিখিনি আমি। তবে আমার বিশ্বাস কয়েক দিনের টানা চেষ্টায় বেশ ভালো স্কুটি চালানো শিখে ফেলব, সেই আত্মবিশ্বাস আছে। আমার খুব ভালো একজন বন্ধুর কাছে আমি এটা শিখছি।ফেরদৌস বলেন, যেহেতু সিনেমার গল্পের প্রয়োজনেই পূর্ণিমাকে আমার স্কুটি চালানো শেখাতে হচ্ছে এবং আমিই এ সিনেমার প্রযোজক, সে কারণে দ্বায়িত্বটা নিয়েছি। আমি চেয়েছি পূর্ণিমা স্কুটি শিখেই এতে অভিনয় করুক। চাইলেই ডামি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু সেটা ভালো দেখাত না।
পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)। চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে।