





নৌকা বাইচ ও একজন মাঝির জীবন জীবিকা ও প্রেম ভালোবাসা এবং সমাজের পটভূমি নিয়ে ‘গলুই’






সিনেমার শুটিং চলছে জামালপুরে প্রন্তত অঞ্চলে। এ ছবিতে মাঝির চরিত্রে অভিনয় করছেন ঢালিউড






সুপারস্টার শাকিব খান। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নায়িকা পুজা চেরি এ ছবিটির শুটিং বর্তমানে মাদারগঞ্জ






উপজেলার জামথল সরঘাট এলাকায় হচ্ছে। শাকিবের শুটিংয়ের খবর শুনে ওই এলাকায় জনস্রোত






নেমেছে। যার কারণে শুটিং করতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ও আগ্রহ দেখে মনে হয়েছে চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ বিন্দুমাত্র কমেনি।






লালু মাঝির ছেলে ঢোলক বাদক। লালু চরিত্রে শাকিব অভিনয় করছেন। লালু হলো গ্রামের সহজ-সরল যুবক। তার বিপরীতে মালা চরিত্রে আছেন পূজা চেরি। এছড়াও অভিনয় করছেন আজিজুল হাকিম ও ফজলুর রহমান বাবুর মতো নন্দিত অভিনয়শিল্পীরা।
সিনেমার বাজেটের অংকটি নির্দিষ্ট করে না বললেও শাকিবের পারিশ্রমিকের কথা বলেছেন প্রযোজক খসরু। তিনি বলেন, সম্পর্কসহ অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পারিশ্রমিকের ব্যাপারটা। এ সিনেমায় শাকিবকে আমরা ৪০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিচ্ছি। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমাটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে। পুরো সিনেমাটি শেষ করকে দেড় কোটি টাকা খরচ হবে। বাকী টাকা তারা নিজেরাই দেবেন।
এদিকে ‘গলুই’ সিনেমায় ‘মেগাস্টার’ শাকিব খানের নতুন ফিটনেস, লুক ভক্ত-শুভাকাঙ্খীদের মনে ধরেছে। তাই নতুন একটি লুক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
চরিত্রটির জন্য তিনি নিজের ফিটনেস এবং সাজসজ্জায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। একাধিক স্থিরচিত্র ও একটি ভিডিও ফুটেজে পাওয়া গেল ব্যতিক্রম শাকিবকে। গায়ে ফতুয়া, পরনে লুঙ্গি, গলায় গামছা। ক্লিন শেভড মুখ, মাথার চুলও ছেঁটেছেন ছোট করে। স্টাইলিশ শাকিবের সঙ্গে এ শাকিবের পার্থক্য অনেকখানি। চরিত্রের জন্য এমন পরিবর্তন তার ভক্তদের মনে ছড়িয়ে দিয়েছে আনন্দের রেশ। ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপগুলোতে চলছে আলোচনা-প্রশংসা।
সুপারটার শাকিব খান তার জনপ্রিয়তা ও জনগণের ভালোবাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, তার শুটিংয়ে কথা শুনে জামালপুর জেলাসহ নদীর ওপার গাইবান্ধা, কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ভীড় করছেন শুটিং স্পটে। ফলে লাখো মানুষের ভীড় সামলিয়ে শুটিং চলছে জেলার বিভিন্ন পয়েটে।
অপরদিকে নায়িকা পুজা চেরির অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ছোটবেলা থেকেই চেয়েছিলেন তিনি যখন শুটিং করবেন তখন মানুষ দেখবে। এ দিকটি পজেটিভ হলে নেগেটিভ দিকে শুটিংয়ের বিষয়টিও দেখতে হবে। সব কিছু বিবেচনা করে কাজ করতে হয়। আশা করছি সফলভাবেই শুটিং শেষ হবে।