





ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রী আনোয়ারা ভালো নেই। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র






পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী এখন চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি। মায়ের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের






কারণে তিনি চলচ্চিত্রে পরিচিত এবং শ্রদ্ধার পাত্র। জানা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কামরুননাহার






আন্নার একটি মন্তব্য পড়ে চটেছেন তিনি। আনোয়ারা আন্নার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে একটি






স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লিখেছেন: ‘আমি আনোয়ারা যদি একবার উঠে দাঁড়াই, তাহলে আমা’র পাশে দাঁড়াবে আমা’র দর্শকেরা, আমা’র ভক্তরা, আমা’র শুভাকাঙ্ক্ষীরা, আমা’র এফডিসি’র সিনিয়র থেকে জুনিয়র শিল্পী কলাকুশলীরা। এমনকি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানও।’
ঘটনার সূত্রপাত চিত্রনায়িকা মুক্তির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে। মুক্তি জায়েদ খান ও হিরো আলমকে নিয়ে একটা পোস্টে লিখেছেন: ‘সব শিল্পীকেই সব শিল্পীর সম্মান দেয়া উচিত। সে ছোট শিল্পী হোক আর বড়।’ এই পোস্টের কমেন্টস-এ আন্না মিথ্যাচার করেছেন বলে আনোয়ারা অ’ভিযোগ করেছেন।
বিষয়টি আনোয়ারা ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরে লিখেছেন: ‘আন্না লিখেছে, সে আমা’দের বাসায় একবার এসেছিল। তখন নাকি আমি তাকে বলেছিলাম, আন্না তুমি আমাকে সবার সামনে ‘ম্যাডাম’ বলে ডাকবে। এরপর থেকে নাকি সে আর আমা’দের বাসায় আসেনি।
আমি আন্নাকে বলতে চাই, তুমি কি জানো না সবাই আমাকে ‘আনুদি’ বলে ডাকে? তাহলে তোমাকে ‘ম্যাডাম’ বলে ডাকতে বলবো কেন? সামনে দেখলে কীভাবে সম্মান দেখাবে বুঝে উঠতে পারো না। পেছনে মিথ্যা প্রচার করো কার জন্য?’
একই স্ট্যাটাসে আনোয়ারা অ’ভিযোগ করেন, ‘আমা’র মেয়ের শিল্পী হবার নমুনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নায়িকা নাদিয়া আশরাফ আন্না এবং সাগর সিদ্দিকি। আমি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের কাছে জানতে চাই- সে এমন প্রশ্ন তোলার সাহস কী করে পেলো? যারা আমা’র সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস পায় না, এমন জুনিয়র শিল্পীরা এতো বেয়াদবি করার সাহস পায় কার ভরসায়?’
প্রসঙ্গত, আনোয়ারা নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৬৭ সালে উর্দু ছবি সৈয়দ আউয়াল ও শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘বালা’তে। অভিনেত্রী হিসেবে আনোয়ারার টার্নিং পয়েন্ট একই বছর মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। ওই ছবিতে আলেয়া চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে সর্বস্তরের দর্শকের প্রশংসা কুড়ান তিনি।