





একদিন আজিজ রেজা ভাই শাকিবকে নিয়ে আমা’র এক সিনেমা’র শুটিং সেটে আসেন এবং






তাকে আমা’র সিনেমায় নেওয়ার অনুরোধ করেন। আমি আ’পত্তি করিনি। কিন্তু প্রযোজক নিতে






চাচ্ছিলেন না। তখন আমি দায়িত্ব নিয়ে ‘দুজন দুজনার’ সিনেমায় শাকিবকে নিই। এজন্য আমা’র






রেমুনেশনও কম নিতে হয়েছে। আমি যখন সাত লাখ টাকা নিয়েছি তখন শাকিব ১৫ হাজার টাকা নিতো।






আমা’র অনুরোধে ওর পারিশ্রমিক বেড়েছে। আমা’র প্রত্যেকটা প্রোডাকশনে আমি বলার পরে ওকে নেওয়া হয়েছে। সবগুলোতেই ব’ন্ডে আমা’র স্বাক্ষর দেওয়া আছে। এই সিনেমাগুলো হিট হওয়ার পরই শাকিব খান আজকের পর্যায়ে এসেছে।
একদি গনমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অ’ভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। শাকিব খান তারকা হওয়ার পর শাকিব-পপিকে জুটি বেঁধে অ’ভিনয় করতে দেখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘তখন শাকিবের সঙ্গে অ’পুর প্রে’ম, বিয়ের কারণে আর হয়ে ওঠেনি হয়তো। তাছাড়া তখন ও একটা ব্লকে কাজ করেছে। আম’রা যে যার ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। আমি কখনো নায়ক নির্ভর ছিলাম না।
আমাদের দেশে অনেক শিল্পী আছেন যারা জুটি হিসেবে কাজ করেছেন। এক সময় কেউ কাজ ছেড়ে দিলে বা জুটি ভেঙে গেলে তাদের তখন সমস্যা হয়েছে। আমি একমাত্র হিরোইন যে কোনো নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করার চেষ্টা করিনি। আমি কখনো অন্য হিরোর উপর নির্ভর করিনি।’
শাকিব-পপি জুটি বেঁধে বেশ কিছু সিনেমায় অ’ভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—‘দস্যু’, ‘ডাকু রানী’, ‘ওরা সাহসী’, ‘ক্ষমতার দাপট’, ‘ভয়ংকর পরিণাম’, ‘জুয়াড়ি’, ‘হিরা চুনি পান্না’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘বাপ বেটির যু’দ্ধ’, ‘গণ দুশমন’, ‘বিশ্ব বাটপার’, ‘জমজ’, ‘দানব সন্তান’ প্রভৃতি।