





দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে বাসায় পড়ে আছি। তিনবার চেন্নাই থেকে চিকিত্সা করে এসেছি। খুব একটা লাভ






হয়নি। এদিকে জমানো যে টাকা ছিল তাও শেষ। যাঁরা আমাদের মতো শিল্পীদের দিকে আঙুল তোলেন






তাঁরা কি জানেন আমাদের পারিশ্রমিক কত? পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছি। যদি ঠিকমতো






পারিশ্রমিক পেতাম তাহলে আজ আমার গাড়ি-বাড়ি থাকত। শেষ ১৫ বছরে কয়টা ছবিতে দেখেছেন আমাকে?
কাছের অনেক পরিচালককে ফোন দিয়েছি, লাভ হয়নি। তাঁরা বলেন, আমাকে দেওয়ার মতো চরিত্র নেই। আরো দারুণ অজুহাত তৈরি করেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া একজন খালেদা আক্তার কল্পনাকে কিভাবে হালকা চরিত্রে দাঁড় করায়! একই ছবিতে আমি যে পারিশ্রমিক নিয়েছি, একসময় শাকিব খানও তা নিয়েছে।
অথচ এখন শাকিব নেয় ৪০ লাখ আর আমি আগের জায়গায় পড়ে আছি। এর জন্য কি আমি দায়ী না নির্মাতারা? এমনও শুনেছি, নির্মাতারা এখন গল্পে শুধু নায়ক-নায়িকাকেই প্রাধান্য দেন। সহ-অভিনেতাদের কথা মাথায়ই আনেন না। আর আনলেও কাকে ফ্রিতে অভিনয় করিয়ে নেওয়া যায় সেটা মাথায় রাখেন। ফলে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসে না। তাহলে কী করব আমরা? অভিনয়ের বাইরে তো অন্য কিছুই শিখিনি। যে ভক্তরা আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে, সেই ভক্তরাই যখন দেখে চিকিত্সার অভাবে আমাদের সাহায্য চাইতে হচ্ছে, তখন খারাপ লাগে। কিন্তু এই দায় কে নেবে? নিশ্চয়ই আমি বা আমরা না! দায়ী আমাদের সিস্টেম।