





সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধরা পড়েছে বর্ষা সোসাইটির ভারাচ্ছা এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়। স্থানীয় এলাকার






পুলিশ গ্রেফতারও করেছে তাঁদের। সিসিটিভি ফুটেজটি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ সারা ফেলেছে।






‘ডন’ (১৯৭৮)-এর অমিতাভকে মনে আছে? অথবা ‘ডন’ (২০০৬)-এর শাহরুখ কে। কিভাবে






পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একাধিকবার পালিয়ে বেঁচেছে তারা। এই সমস্ত চরিত্র দেখতে দেখতে মনে হয়, সিনেমার পর্দাতেই হয়ত এমনটা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবেও দেখা গিয়েছে ঠিক এরকমই একজনকে। তবে তিনি ডন নন, লেডি ডন।
গুজরাতের সুরাটের বাসিন্দা অস্মিতা গোহিল। চলতি সপ্তাহের গত সোমবার তাঁকে দেখা গিয়েছে তলোয়ার হাতে এক পান বিক্রেতাকে হুমকি দিতে।
জাতীয় গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ সুরাটের বর্ষা সোসাইটির একটি পানের দোকানে গিয়ে অকারণে ৫০০ টাকা চায় বছর কুড়ির অস্মিতা এবং তাঁর এক বন্ধু। দোকানদার দিতে নারাজ হলে তাঁর দিকে তলোয়ার উচিয়ে ভয় দেখানো হয় এবং জোরজবরদস্তি তাঁর দোকান বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে একটি মোটরবাইকে করে অস্মিতা ও তাঁর বন্ধু সেখান থেকে চলে যায়। সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধরা পড়েছে বর্ষা সোসাইটির ভারাচ্ছা এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়। স্থানীয় এলাকার পুলিশ গ্রেফতারও করেছে তাঁদের। সিসিটিভি ফুটেজটি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ সারা ফেলেছে।
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও অস্মিতা তাঁর তাণ্ডব চালিয়েছে যত্রতত্র। হোলির সময়ে ভিড়ের মধ্যে তাঁকে এবং তার বন্ধু সঞ্জয় গোহিলকে দেখা গিয়েছে বিলবোর্ডের হুক এবং ছুড়ি নিয়ে একজনকে ভয় দেখাতে। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করলেও, কিছু দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যায় তাঁরা।
এখন প্রশ্ন, প্রকাশ্যে এই রকম অসামাজিক কাজকর্ম করার সাহস কোথা থেকে পায় এরা?
অস্মিতা গোহিলের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এরকম ছবিও পাওয়া গিয়েছে, যেখানে তিনি তলোয়ার এবং রিভলভার হাতে নিয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন। এমনকি তাঁর প্রোফাইলের ‘অ্যাবাউটে’ লেখা রয়েছে- ‘‘হামারে জিনেকা তড়িকা থোড়া আলগ হ্যায়, হাম উমিদ পার নেহি, আপনি জিদ পর জিতে হ্যায়।’’
বোঝাই যাচ্ছে এত কম বয়সেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস রাখেন তিনি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বিনা সংকোচে সেগুলো শেয়ারও করেন। সুরাটের অলিতে-গলিতে তাই এই যুবতীর পরিচয় ‘লেডি ডন’ নামেই। যদিও তাঁকে ‘রিভলভার রানি’ বললেও খুব একটা ভুল হবেনা।