





মিডিয়া মানেই তারকাদের সম্পর্কের উত্থান-পতন। কারো সঙ্গে গলায় গলায় মিল, কারো বা দা-কুমড়া।






তবে হাই প্রোফাইল তারকাদের মন বোঝা বড়ই দায়। কখন যে তাদের কাকে ভালো লাগে, আর কখন যে লাগে না সেটা তাদের






মনই ভালো জানে। বলছি, বলিউডের বাদশাহ ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের কথা। বলিউডে একের পর এক হিট সিনেমা দেয়ার পরও কোনো কারণ ছাড়াই ঐশ্বরিয়াকে ৫টি সিনেমা থেকে বের করে দিয়েছিলেন শাহরুখ।
সম্প্রতি ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে নানা ফিচার প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। আর এতে ঐশ্বরিয়াকে শাহরুখ কেন বাদ দিয়েছিল সেই বিষয়টি আবারো যেন ‘টক অব দ্যা টাউন’। ফিচারে ঐশ্বরিয়াকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি
জানান, কয়েকটি সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় দুঃখ পেয়েছিলেন। তার মনে প্রশ্ন উঠেছিল, ‘এটা কেন হয়েছে?’ তবে তিনি বলেন, আমি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। আমি সেরকম মানুষ নই।
ঐশ্বরিয়াকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে শাহরুখ অবশ্য পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে শাহরুখ ঐশ্বরিয়ার সামনেই তার সঙ্গে ফের সিনেমা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। যদিও সে সময় শাহরুখ ছিলেন বলিউডের প্রাণ। আর
ঐশ্বরিয়া ছিলেন বলতে গেলে বলিউডের ফ্রেশ মুখ। তাহলে কি শাহরুখ তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়েছিলেন? নাকি সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম মেনে নিতে পারেনি শাহরুখ? প্রশ্ন তো অনেকই রয়ে যায়।
সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম চলে ২০০১ সাল পর্যন্ত। আর এরমধ্যেই ঐশ্বরিয়াকে কিছু সিনেমা থেকে বাদ দেন শাহরুখ। তবে আসল কারণ হয়তো এই দুই মুখই ভালো বলতে পারবেন। যদিও শাহরুখ-ঐশ্বরিয়া জুটিকে একসঙ্গে শেষ দেখা গিয়েছিল
২০১৬ সালে ‘এ দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমায়। যেখানে ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন স্বামী হিসেবে দেখা গিয়েছিল শাহরুখকে।
এই জুটির ‘তাল’, ‘জোশ’, ‘দেবদাস’, ‘মহাব্বতে’র মতো জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে, যা তখন দর্শকদের মন কেড়েছিল।