





চিত্রনায়িকা পপি বর্তমানে গ্রামের বাড়ি খুলনায় অবস্থান করছেন। আ’ক্রা’ন্ত হয়েছিলেন ক’রো’না’য়।






এদিকে চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র এফডিসি উ’ত্তা’ল রয়েছে মিশা-জায়েদ ব’য়’ক’ট নিয়ে। নিজের শা’রী”রিক অ’ব’স্থা ও






এফডিসির উ’ত্তা’ল পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা থেকে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন পপি এখন শ”রীরি’ক অব’স্থা কেমন? আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো। গত সপ্তাহে ক’রো’না টে’স্টে ফলাফল নে’গে’টি’ভ এসেছে। তবুও বাসা
থেকে বের হচ্ছি না। ক’রো’না সেরে গেলেও আ’ত’ঙ্ক কা’ট’ছে না। ক’রো’না থেকে সেরে উঠেছেন। ঢাকায় ফিরছেন কবে? ঢাকায় শিগগির ফেরা হচ্ছে না। কারণ, ঢাকার অবস্থা এখনও খুব একটা ভালো নয়। মানুষ ঘর থেকে বের হলেও ক’রো’না’য় আ’ক্রা’ন্তে’র সংখ্যা তো কমছে না। আমার আত্মীয়-স্বজন যারা ঢাকায় আছেন, তাদের অনেকের আ’ক্রা’ন্তের খবর পাচ্ছি। এ পরি’স্থিতিতে কীভাবে ঢাকায় ফিরি? এফডিসিতে যা হচ্ছে খবর রাখছেন তো? গ্রামে থাকলেও সব খবরই রাখছি। এফডিসি আমার আরেক পরিবার। পরিবারের খবর তো রাখতেই হবে। সেখানে একটা ক্রা’ই’সি’স চলছে। শিগগিরই এ ক্রা’ই”সিস চলে যাবে।
আমরা আবার সবাই একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের শুটিংয়ে মুখর হয়ে উঠবে এফডিসি। ক্রা’ই’সিস বলতে আপনি কী বো’ঝালেন? এফডিসিতে কী হচ্ছে এটা তো গণমাধ্যমের বরাতে দেশের সবাই জানতে পারছেন। এখানে ক্রা’ই’সিস কী নিয়ে এটাও সবার জানা। তবে আমি মনে করি, এখানে সবচেয়ে বড় ক্রা’ই’সিস হচ্ছে সম্পর্কের। আগে কত সুন্দর দিন কাটা’চ্ছিলাম আমরা। মান্না ভাই, ওমর সানী ভাই, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খান, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ই’ন্ডাস্ট্রিকে লিড দিয়েছেন। তখন আমাদের মধ্যে ভালো কাজের প্রতি’যোগিতা থাকলেও কারও সঙ্গে’ কোনো রে’ষারে’ষি ছিল না। কেউ কারও পেছনে লাগেনি। কারও আড়া’লে কারও ব’দনা’ম হতো না। সেই গো’ছানো সম্পর্কগুলো ন’ষ্ট করে দিলো জায়েদ।
সে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসার পরই শুরু হলো একে অপরে দ্ব’ন্দ্ব। অযো’গ্য লোককে চে’য়ারে বসালে যা হয়। এর-ওর মধ্যে বি’রু’দ্ধে লাগিয়ে সবাইকে ব্য’স্ত বানিয়ে নিজে চেয়ারের জায়গাটা শক্ত করে নিতে চাচ্ছিলো সে। কিন্তু অযো’গ্য লোক বেশিদিন থাকতে পারে না। তার প’তন হবেই। একে অপরে সম্প’র্ক ন’ষ্ট হওয়ার কারণ শুধুই কি জায়েদ, আপনাদের কোনো ভু’ল নেই? এর আগে এক ইন্টারভিউতে কেন আমরা জায়েদকে চেয়ারে বসিয়েছি সেটা বলেছি। সেটা অনেকটা শাকিব খানের ওপর ‘অ’ভি’মা’ন করেই। এটাই আমাদের ভুল ছিল। এই ‘ভুলের খে’স’রাত যে এভাবে দিতে হবে বু’ঝিনি। সমিতির নেতার চেয়ারে বসে সে যে ক্রা’ই’মগুলো করেছে তা বর্ণনাতীত। সে ক্রাই”মের অনেক কিছুই আপনারা জানেন না।
সেগুলো বলার মতোও না। তাই বলি, আমি যদি জায়েদের বিষয়ে মুখ খুলি তাহলে সে মুখ দেখাতে পারবে না। শুধু বলবো, যার একটাও হিট ছবি নেই, অভিনেতা হিসেব দর্শকরা যাকে চিনেই না, সেই কিনা রিয়াজ, ফেরদৌস ভাইকে নিয়ে ক’টু কথা বলে। তাদের নিয়ে স’মালো’চনা করে। ওমর সানী ভাইকে সে মা’ন’সিক ডা’ক্তার’ দেখাতে বলে। এখন ভুল শো’ধরাবেন কীভাবে? জায়েদ খানের প’দ’ত্যা’গ নিয়ে সবাই সোচ্চার হয়েছেন। ভুল শু’ধরানোর এটাই একমাত্র উপায়।
চলচ্চিত্রবিষয়ক ১৯ সংগঠন একত্র হয়ে জায়েদকে ব’য়’ক’ট করেছে। জায়েদের প’দত্যা’গটা আগে দরকার। শিল্পী সমিতির ক্ষম’তা থেকে ওকে অ’পসারণ না করলে সে এমন ক’র্মকা’ণ্ড করেই যাবে। এফডিসি আরও নোং”রা হবে। সাধারণ মানুষের কাছে তারকারা হা’সির পাত্র হবে। তাই আমাদের সবার করণীয় এখন জায়েদের আগে প’দত্যা’গ করানো। এরপর একসঙ্গে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এগি’য়ে যাওয়া….