





চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেছেন, আমি আদালতের রায় মিথ্যা দেখিয়ে শপথ গ্রহণ করিনি। আমি যদি






আদালতের রায় নাই পেলাম তাহলে নিপুন কোন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলো? আর আমি যদি অবৈধ হই তাহলে অবৈধভাবে নিপুনকে পাশে নিয়ে সে কীভাবে কাজ করছে?






সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। আর সেখানে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন এই নায়ক।
এর আগে এই নায়ককে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচনের পর তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না কেন- জবাবে জায়েদ খান বলেন, যেখানে ভালো অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন, কথা বলার দরকার সেখানে যাচ্ছি। আর সাধারণ সম্পাদকের পদের বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ আদালতে। এ জন্য বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ। তবে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, নির্বাচিত হয়েও ভোটে জিতেও এখন এই অবস্থা।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুন ভোটে না জিতেও বা আদালতের রায় না পেয়েও অদৃশ্যভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এটি কষ্ট দেয় কিনা প্রশ্নের জবাবে এ নায়ক বলেন, আমাকে কষ্ট দেয় না। কারণ আমি গত দুই মেয়াদে চার বছর দায়িত্ব পালন করেছি। শিল্পীরা এর ফলও দিয়েছে, আমাকে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোথাও দেখেছেন, কোনো অনির্বাচিত একজন মানুষ জোর করে গিয়ে চেয়ারে বসে? লজ্জা ও ব্যক্তিত্বহীন, আদালতের রায় না মেনে চেয়ারে বসা এমন মানুষ কী কোনো ইতিহাসে আছে? ভোটে জয়ী হলেন, আপিলে জয়ী হলেন, আপিলের রায়ও মেনে নিলেন স্বাক্ষর করে, চূড়ান্ত ফলাফল হলো। চূড়ান্ত ফলাফলে জয়ী হওয়ার পাঁচদিন পর সোহানুর রহমান সোহান ও মোহাম্মদ হোসেন অনিয়মিতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে একজন পরাজিত মানুষকে জয়ী বলছেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, কোনো আইন-ই নেই। আপিল বোর্ড তো ২৯ তারিখের পর থেকে নেই। কিন্তু তারা সেটা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে অস্তিত্ব এনে শিল্পী সমিতিকে একটা অকার্যকর অবস্থায় ফেলে রেখেছে বলেও জানান ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমার নায়ক।
তিনি বলেন, আদালত বললেন স্থিতি অবস্থা থাকবে। কিন্তু তারপরও আমাদের একজন অভিনেত্রী তা না মেনে জোর করে চেয়ারে বসছে। একজন মানুষের চেয়ারের প্রতি যে এতো লোভ হতে পারে…! তিনি লজ্জাহীন। শিল্পীদের সম্মান নিচে নামিয়েছেন তিনি। এমনটা কোনো শিল্পী করতে পারেন না।
দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা এ নায়ক আরও বলেন, তিনি প্রথমে বললেন আদালত যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব। আদালত রায় দিলেন কিন্তু তিনি তা মানলেন না। এরপর গেলেন চেম্বার জজে, তারা বললেন এটা স্থিতি অবস্থায় থাকবে। সেটা না মেনে চেয়ারে নাম পরিবর্তন করে, রাতের মধ্যে বোর্ড নামিয়ে জমি দখলের মতো অবস্থা। এসব দেখে লজ্জায় আর আমি এফডিসিতে যাই না।