





ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সেরা অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। যিনি বাংলার অন্যতম ওমর






অভিনেতা সালমান শাহের স্থলাভিষিক্ত হয়ে চলচ্চিত্রে জগতে পা রাখেন। এরপর ভারত-বাংলাদেশের






যৌথ প্রযোজনায় ’হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি লাভ






করেন তিনি। তবে দেখতে দেখতে জীবনের ৪৮ বছর শেষ হয়ে গেল প্রিয় এই তারকার।
অনুভূতিটা কেমন? ফেরদৌস বলেন, ’প্রত্যেকটা বয়সের আলাদা সৌন্দর্য্য আছে। যখন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরার সময় তখন ঘুরেছি। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যখন সময় কাটানো দরকার তখন কাটিয়েছি। সবসময় চেয়েছি নিজের মতো করে জীবনটাকে যাপন করতে।’
’চেষ্টা করেছি সবসময় নিজের একটা স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করতে। তবে অনেকেই আমাকে প্রেরণা দিয়েছেন। যেমন একজন মুসলিম হিসেবে আমার কাছে সেরা মানুষ মহানবী (স.)। উনার জীবন ও পরামর্শ আমাকে মানুষ হিসেবে সঠিক পথে থাকার দিক নির্দেশনা দেয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করি রাজনীতির ভাবনায়। আর আমার কাছে আমার বাবা পৃথিবীর সেরা বাবা। তার আদর্শকে লালন করে চলি সবসময়। আমি চেয়েছি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে। আর চলচ্চিত্রে এসেছি পৃথিবীর বুকে আমি যে ছিলাম তার একটা চিহ্ন রেখে যেতে। মৃত্যুর পরও মানুষ যেন আমাকে যুগ যুগ মনে রাখে সে ভাবনা থেকেই অভিনয় করে যাচ্ছি এখনো’- যোগ করেন ফেরদৌস।
জন্মদিনের বিশেষ স্মৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’স্মৃতি একেক সময় একেক রকম। প্রতিবার বাবাকে খুব মিস করি।’
প্রসঙ্গত, মডেলিংয়ের মধ্যদিয়ে মিডিয়া জগতে যাত্রা শুরু করেন ফেরদৌস আহমেদ। এরপর ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন বড় পর্দায়। তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি ’পৃথিবী আমারে চায় না’। তবে ১৯৯৮ সালে ’হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যান তিনি।