





বাংলাদেশে অনেক গুনী শিল্পীর জন্ম হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম এজন জনপ্রিয় ও নন্দিত শিল্পীর নাম






ফেরদৌস ওয়াহিদ। যিনি একটা সময়ে গানের জগতে ছিলেন এক উজ্জল নক্ষত্র। তার রয়েছে অসংখ্য






সব জনপ্রিয় গান। তবে সম্প্রতি তিনি তার বর্ণাঢ্য ও সুদীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা






দিয়েছেন। এবার ’চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’-এর ১৫তম আসরে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। সেই সম্মাননা গ্রহণকালেই তিনি এই ঘোষণা দেন।
হঠাৎ বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ারের ইতি টানার কারণ জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার সংগীত জীবনে পেয়েছি লাখো মানুষের ভালোবাসা।
এ নিয়ে তিনি আরো বলেন, এ জন্য ভক্তদের জন্য আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অনেক সম্মাননা পেয়েছি, নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই। আর আমি আমাদের দেশের সংগীতাঙ্গনের কথা ভালোভাবেই জানি। শিল্পীদের শেষ বয়সে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। আবার আমার নিজের রেঞ্জও আমার জানা। তাই আমি মনে করি, এটাই বিদায় নেয়ার ভালো সময়। এখনো শক্তি আছে, গান করছি। মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিচ্ছে। এটা থাকতে থাকতে সরে আসতে চাচ্ছি। কেউ ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার আগে নিজেই চলে যেতে চাই। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর আর গাইব না।
আমার আর মঞ্চে ওঠার ইচ্ছা নেই। তবে ১৯৮৬ সালে বাবার নামে একটি জনকল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। সেখান থেকে অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। যদি সেই ট্রাস্টের কল্যাণে কেউ কনসার্ট আয়োজন করে, তখন হয়তো দায়বদ্ধতা থেকে গাইতে পারি। নইলে আর কখনোই মঞ্চে উঠব না।
এরই মধ্যে আমি আমার চিরচেনা শহর ঢাকা ছেড়ে নিজ গ্রামে চলে এসেছি। এখানে আমার পৈতৃক জমি রয়েছে। সেগুলো দেখাশোনা করছি। কৃষিকাজের পাশাপাশি মৎস্য চাষ করছি। কিছুদিন পর বাড়ির আঙিনায় সবজি ও ফলফলাদির চাষ করব। যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই গ্রামে থাকতে চাই।
৯০ এর দশকে তার গান ছিল জনপ্রিয়তার চুড়ায়। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তবে একটা পর্যায়ে বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েন তিনি। এর পর থেকেই কমিয়ে দেন কাজ করা। এ ছাড়াও তার সন্তানও এখন বাংলাদেশের গানের জগতের অন্যতম একজন জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছেন।