Home / মিডিয়া নিউজ / তোদের মত নায়িকাদের জন্য গজব দিছে, মাথায় কাপড় দে

তোদের মত নায়িকাদের জন্য গজব দিছে, মাথায় কাপড় দে

সারা বিশ্ব এখন স্যোশাল মিডিয়া নাম এক রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্যোশাল মিডিয়ায়

মানুষজন মজে আছে একেবারে ওৎপ্রোতভাবে। নিজেদের যত প্রকার মনের কথা কিংবা রাগ দুঃখ

সব কিছুই যেন এই স্যোশাল মিডিয়াতেই মানুষরা ছেড়ে থাকে। বিশেষ করে অনলাইনে বিভিন্ন পোস্টের

নিচে যেসব কমেন্ট থাকে তার মধ্যে একটা বড় অংশই বলার অযোগ্য! গালি-গালাজ, মিসোজিনি, আর ঘৃণার মচ্ছব বসে সেখানে! এটা নিয়ে ইদানীং বেশ কিছু প্রিয় মানুষের লেখালেখি দেখতে পাচ্ছি! সঙ্গত কারণেই উনারা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন!
যেহেতু ঘটনাচক্রে আমাদের কাজ জনতার সাথে, সেহেতু এই ধরনের মন্তব্যের সাথে আমাদেরও সংসার করতে হচ্ছে ! আমার ক্ষেত্রে শুধু এক দল না! পরস্পর বিরোধী দলের কাছে গালি, অশ্লীল ব্যাক্তি আক্রমণ, হত্যার হুমকি শুনে আসছি! এমনও হয়েছে একই লেখার জন্য একদল বলেছে নাস্তিক, আরেকদল জামাতি, আরেকদল পশ্চিমা সংস্কৃতির দালাল, আরেকদল বলেছে ভারতের দালাল! একই লেখার জন্য! এগুলা কি ভালো লাগে? কার ভালো লাগে এই দুনিয়াতে অহেতুক গালাগাল আর অশালীন কথা শুনতে? এক সময় মাথায় রক্ত উঠে যেতো!

এখন কথা হলো এই গালাগাল প্রক্রিয়া কি শুধু বাংলাদেশেরই ইউনিক ব্যাপার? তা কিন্তু না! এটা দেশ-সংস্কৃতি ভেদে কম বেশ হলেও দুনিয়া জোড়া আছে! সব সময়ই ছিলো! আগে ফেসবুক ছিলো না বলে আমরা গালাগালগুলা শুনতে পেতাম না আর কি!
এখন ফেসবুক সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে! সবাই এখন সবার ড্রইংরুমে বর্জ্যত্যাগ করার অধিকার রাখে! আগে সমাজে একটা কম্পার্টমেন্টালাইজেশন ছিলো! ফলে আমাদের কোরামের বাইরের মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়া কোনো ইন্টারেকশনের সুযোগ ছিলো না! এর ভালো-খারাপ দুই দিকই ছিলো! কিন্তু এখন যেটা হয়েছে, সেটা হলো যে কেউ যে কোনো বিষয়ে মন্তব্য বা গালি দিতে পারে! যে লোকের হয়তো দুইজনম কেটে যাইতো ঐ সেলেব্রেটির বিশ ফুটের মধ্যে যাইতে, এখন সে অবলীলায় তার অন্দরমহলে ঢুকে কমেন্ট করে আসতে পারে “তোদের মত নায়িকাদের জন্য গজব দিছে! মাথায় কাপড় দে, ******”! (শেষের চিহ্নগুলা গালির পরিবর্তে ব্যবহৃত)

যে লোক সারাজীবনে চৌকিদারপাড়া বাজারের বাইরে পা ফেলে নাই, দৈনিক পত্রিকার পাতা উল্টাইয়াও দেখে নাই, অন্য পড়াশোনাতো দুর অস্ত, সেও দিব্যি জিজেকের লেখার নিচে লিখে দিয়ে আসতে পারে “ঐ শালা … লিখছো”! যার সারাজীবন কাটছে ডিপজলের ছবি (ভালো-খারাপ বলছি না) দেখে, সেও তারকোভস্কির ছবির ক্লিপিংসের নিচে লিখে আসতে পারে “… বানায়”! আগে হইলে হয়তো ডিপজল এবং তারকোভস্কির কখনো সাক্ষাৎই হইতো না! এখন ফেসবুক এদের মিলন ঘটাইয়া দিছে এবং এক ধরনের ইন্টারেকশানও শুরু হইছে!

তো কথা হলো, এই মানুষেরা সকল দলের মধ্যেই ছড়ায়ে আছে! এদের সংখ্যা হাজারে হাজার, কাতারে কাতার!

তাহলে করণীয় কী?
শুধু এড়িয়ে যান।মন্তব্য বিভাগটাকে এড়িয়ে যান। প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্ক্রিনশট নিয়ে শেয়ার করার মাধ্যমে ওরা যা চায় আপনি তা করে দিচ্ছেন! ওরা চায়, এই গালি বা দুর্গন্ধটা ছড়ায়ে যাক চারিদিকে! আপনি বিনাপয়সায় তাদের হয়ে এই কাজটা কেনো করবেন?

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের বিনোদন জগতে অন্যত জনপ্রিয় পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দেশের বিভিন্ন নাটক ও সিনেমা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তার কাজে রয়েছে অনেক বিশেষত্ব। যার ফলে তাকে দেশের সেরা পরিচালকের তকমা এনে দিতে সাহায্য করেছে। এ ছাড়াও বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি বেশ একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবেই পরিচিত।

About Reporter Zara

Check Also

তাহসানকে নিয়ে গুঞ্জন, শাওনের দ্বিতীয় বিয়ে কবে?

প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল তার বিয়ের। শোনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

No comments to show.