





বাংলাদেশের মডেল অভিনেত্রী হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া বিনোদন জগতের দীর্ঘদিন যাবত।নানা






কারণে আলোচিত সমালোচিত জান্নাতুল-ফেরদৌস-পিয়া। তিনি সব সময় থাকতে চান সংবাদ শিরোনামে।






বিশেষ করে তার বলা বিভিন্ন মন্তব্য অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা বিভিন্ন ধরনের ছবি কারণে






তিনি সবসময়ই আলোচনায় থাকেন। বাংলাদেশের বিনোদন জগত ও মডেলিং জগতে সাহসী হিসেবে বেশ পরিচিত তিনি। সম্প্রতি বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা আর নানা ধরনের কাজ নিয়ে কথা বলছিলেন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকার সাথে।পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেই সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো:-
ফেসবুকে বউ সেজে ছবি প্রকাশ করলেন। ঘটনা কী?
[হাসি] অন্য কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই। সম্প্রতি ’বউ নিয়ে বিপদে’ শিরোনামে একটি নাটকে কাজ করেছি। সে জন্য এমন লুকে ছবি প্রকাশ করেছি। এতে আমার বিপরীতে জাহিদ হাসান অভিনয় করেছেন। এটি পরিচালনা করছেন আদিবাসী মিজান। গতকাল দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। সামনের ঈদে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে।নাটকের প্রেক্ষাপট কি কমেডি ঘরানার?
হ্যাঁ, তবে এটি কিছুটা ব্যতিক্রম প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে। গল্পে আমাকে নিয়ে ভীষণ বিপাকে পড়েন জাহিদ হাসান। ঘটে মজার সব ঘটনা। আমরা অনেক মজা করে শুটিং করেছি। এমন অনেক সংলাপ ছিল, যা শুনে হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আমাদের। হাসির জন্য শুটিং বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আর জাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও ছিল অসাধারণ। তিনি আমার পছন্দের একজন অভিনেতা। নাটকে তার সঙ্গে অভিনয় করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
অন্য কোনো নাটকে অভিনয় করছেন?
জাহিদ হাসানের নির্দেশনায় একটি নাটকে অভিনয় করেছি। এটিও আগামী ঈদের জন্য নির্মিত হয়েছে।
দুটি নাটকই তো ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে। তবে কি বিশেষ দিবস ছাড়া এ মাধ্যমে আপনাকে দেখা যাবে না?
আসলে বিষয়টি নির্ভর করে গল্প ও নির্মাতার ওপর। আমি যে নির্মাতা বা চিত্রনাট্যকারের ওপর নির্ভার থাকতে পারি, তারা যদি প্রস্তাব না দেয়, তাহলে কাজের আগ্রহ পাই না। এ ছাড়া ব্যক্তিজীবন ও পেশাগত জীবন- সব মিলিয়ে সময় বের করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে গল্প ও নির্মাতা যদি পছন্দ হয়, তাহলে নাটকে অভিনয়ে আপত্তি নেই।
এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। বিভিন্ন চ্যানেলে উপস্থাপনাও করছি। এ ছাড়া নিজের ব্যবসা ও আইন পেশা নিয়েও সময় দিতে হচ্ছে।
এবার চলচ্চিত্রের কথা বলুন…
দুটি নতুন ছবিতে কাজ করছি। মাসুদ রানার জন্য ফাইটিং, নাচ শিখতে হচ্ছে। এ ছবিতে একটি গানই রয়েছে। আইটেম গানটিতে আমি পারফর্ম করছি। কিছুদিনের মধ্যে এর দৃশ্যধারণ হবে। আর এ ছবির পরই ’স্বপ্নবাজি’র কাজ শুরু হবে।
মিডিয়ায় আপনার ক্যারিয়ার প্রায় ১১ বছরের। ব্যক্তিজীবনেও আপনি আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। সবকিছুর সমন্বয় করেন কীভাবে?
মিডিয়ায় এত লম্বা সময় পার করেছি, এভাবে হিসাব করিনি কখনও। এটা ভেবে অনেক বেশি ইমোশনাল লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ। আমি যত কষ্ট করেছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তিই বেশি ছিল। আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে পরিবারের সমর্থনের কারণে। মানুষের ভালোবাসার ডানায় ভর করে আগামীতে আরও ভালো কিছু কাজ করতে চাই। মিডিয়ার একজন মেয়ে চাইলে নিজের কাজের পাশাপাশি সংসার ও আইন পেশায় সুনামের সঙ্গে করতে পারে এবং সেটি সম্ভব যদি পরিবার পাশে থাকে।
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই আপনাকে খোলামেলা পোশাক নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়…
কে, কীভাবে আমার ছবি নিয়ে ভাবছে বা মন্তব্য করছে, তা একেবারেই পাত্তা দিই না। আমার প্রতিদিন ফেসবুকে প্রায় এক হাজারের মতো মেসেজ আসে। অনেকেই লেখেন, ’আপু আপনাকে ভালোবাসি।’ এখন তা দেখে যদি গাল ফুলিয়ে বসে থাকি, তাহলে কীভাবে চলব। আরেকটা বিষয় দেখুন, সমালোচনা কিন্তু সবাইকে নিয়ে হয় না। কেউ একজন ভালো কিছু করল, আর অমনি তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিশেষ করে মেয়েরা যদি তাদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করেন, তাহলে তাদের চারপাশে শুরু হয় নেতিবাচক কথা।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ব্যাগে কোন তিনটি জিনিস নিতে ভোলেন না?
মোবাইল ফোন, ক্রেডিট কার্ড আর কলম।
উল্লেখ্য, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া শুধু মডেল-অভিনেত্রী নন। তিনি একজন আইনজীবী ও বটে। আইনজীবী হিসেবে আইনের অঙ্গনে তার বেশ নামডাক রয়েছে। এছাড়া নানা রকম সেবামূলক সমাজ কল্যাণমূলক কাজে তাকে দেখা যায়। বিশেষ শ্রেণীর মানুষদের তিনি বেশ সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। বেশ কিছুদিন আগে তিনি ভাইরাল হয়েছিলেন একজন প্রতিবন্ধী মহিলাকে কিসের মাধ্যমে সাহায্য করে। মানবিক কারণে তিনি অনেক সময় আলোচনায় থাকেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট ছাড়াও কি কোটাল গলার অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে থাকেন।