





ফেরদৌস বাংলা সিনেমার একজন জনপ্রিয় অভিনেতার নাম। ৯০ এ দশকে সিনেমায় তার আগমন।






নিজের চলচিত্র ক্যারিয়ারে রয়েছে অসংখ্য সফলতার পালক। শুধু বাংলাদেশ নয় ভারতেও তার জনপ্রিয়তা






তুঙ্গে। একাধারে বাংলাদেশ ভারত মাতিয়ে রেখছেন বহু বছর ধরে। সম্প্রতি তার বর্তমান ব্যস্ততা আর






তার কাজ নিয়ে অনেক লম্বা একটা সাক্ষাতকার দেন জনপ্রিয় একটি অনলাইন মিডিয়ায়। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো হুবহু:-
শুরুতেই জানতে চাই, বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে…
ক’দিন আগে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করলাম। এর মধ্যে আবার নতুন একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ছবির নামটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটি নির্মাণ করবেন এখলাস আরিফিন। কিছুদিনের মধ্যে ছবির নাম ও অভিনয় শিল্পীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি ’গাঙচিল’, ’জ্যাম’, ’বিউটি সার্কাস’, ’যদি একটু সময় পেতাম’ ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এর মধ্যে কোনোটার শুটিং আবার কোনোটার ডাবিং চলছে।
’গাঙচিল’ ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে কবে?
আগামী মাসের ১৬ কিংবা ১৭ তারিখ থেকে ’গাঙচিল’ ছবির শুটিং শুরু হবে। এবার এর কাজ টানা হবে। নির্মাতা (নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল) তেমনটাই জানিয়েছেন। ছবির শুটিং হবে নোয়াখালীতেই। যতটুকু শুনেছি, শুটিং শেষ হবে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ।
আপনার অভিনীত ’গন্তব্য’ ছবিটি নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। জানা গেছে, এই ছবিতে আপনি নামমাত্র পারিশ্রমিক নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই…
এ নিয়ে কথা বলতেও কেমন জানি লাগে। ছবি নির্মাণ করতে এসে নিঃস্ব হয়েছেন অরণ্য পলাশ, সংবাদটি আমার নজরেও এসেছে। পরিচালক কেন এমনটি করলেন, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি এভাবে প্রকাশ্যে না আনলেও হতো। আমার মনে হয়, তার জন্য পরিচালক ও কলাকুশলীসহ সিনেমার সংশ্লিষ্টরা হেয় হচ্ছেন। আমরা সবাই জানি, সিনেমার কাজ করতে গেলে আটঘাট বেধে নামতে হয়। কিন্তু তিনি তা করেননি। আর সিনেমা নির্মাণ কিন্তু চাট্টিখানি কথা না। আমার প্রশ্ন, তিনি নিজেকে পরিপূর্ণ না করে, কেন সিনেমায় নামলেন? এতে শুধু আমিই না, অনেক শিল্পীই নামমাত্র পরিশ্রমিক নিয়ে কাজ করেছেন। যাই হোক, এখন একটাই চাওয়া ছবিটি মুক্তি পাক। একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে আমি চাই, এটি আলোর মুখ দেখুক।
শুনলাম, ’পুত্র’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন?
আমিও শুনেছি। তবে এখনও তো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। আগে, ঘোষণাটা আসুক। পুরস্কার পেলে, এ নিয়ে পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ক্যারিয়ারে যোগ হবে। আমাদের প্রজন্মের মধ্যে এটি সর্বাধিক।
উল্লেখ্য, ফেরদৌসের নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় আসেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিচালনায় পৃথিবী আমারে চায় না সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমাটি বেশ ব্যবসা সফল হয় ঐ সময়। এর পর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক উপহার দিয়ে গেছেন জনপ্রিয় সব বাংলা সিনেমা। বাংলাদেশের বড় বড় সব তারকা অভিনেত্রীদের সঙ্গে জুটি বেধে কাজ করেছেন এই নায়ক। তার অভিনিত একটি বলিউড সিনেমাও আছে যদিও সেখানে তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করে ছিলেন। তবে ভারতীয় সিনেমার সঙ্গে তিনি জড়িত বেশ অনেক বছর ধরে।