





রিচি সোলায়মান বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী।বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ






করেন। তার বাবা এম. এম. সোলায়মান একজন ব্যবসায়ী। তিনি সেন্ট জুড বিদ্যালয় থেকে তার






প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষাগ্রহণের পর পর তিনি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়






থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) সম্পন্ন করেন। রিচি সোলায়মান ৪০ টিরও






বেশি টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটকে কাজ কাজ করেছেন। বড় পর্দায় তার অভিষেক ঘটে শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত নীরব প্রেম সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে।
ডাক নাম মুন্নী। তিনি যখন মিডিয়ায় পা রাখেন তখন তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকেই ছিলেন। রিচি নিজের মেধা আর অভিনয়শৈলী দিয়ে অনেকেরই মাঝে নিজের উজ্জ্বল অবস্থান তৈরি করে নেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন মাসের জন্য ঢাকায় এসেছেন রিচি সোলায়মান। এরই মধ্যে ব্যস্ত হয়ে গেলেন উপস্থাপনার কাজে। রান্না বিষয়ক এক রিয়েলিটি শো’র উপস্থাপনা। নাম ডিপ্লোমা মিষ্টি লড়াই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিচি সোলায়মান বলেন, রান্না ব্যাপারটা আমার শখ। রান্না করতে খুব পছন্দ করি। রান্নার অনুষ্ঠানে একটা সুবিধাও আছে, অনেক কিছু শেখা যায়। মানুষ তো টাকা দিয়ে রান্না শেখে, আমি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে পাঁচ তারকা হোটেলের শেফদের সঙ্গে কাজ করি। বিনে পয়সায় অনেক রেসিপি শিখতেও পারি। এটাই বড় সুবিধা। তা ছাড়া এখন তো রিয়েলিটি শোগুলোয় দর্শকসাড়াও পাওয়া যায়। দর্শকেরা অনেক বেশি দেখেন।
আপনার হাতের কোন রান্না খেয়ে সবাই বলে বেশ ভালো?
আমার হাতের মুরগি রান্না খুব ভালো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে আমাকে চেনা সবাই মুরগি মুন্নী বলে। আমার ডাকনাম মুন্নী। আমার বড় ভাই দেশি স্টাইলের মুরগি রান্না খুব পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তো আমার প্রচুর আত্মীয়স্বজন। নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সবাই আছেন। দেখা যায়, ভাইয়া সব জায়গায় মুন্নীর মুরগি বলে। খারাপ হয় মাছ রান্না। ছোট মাছ কিংবা দেশের কোনো মাছ ভালো হয় না। আম্মু ভালো রান্না করে তো, তাই তুলনা চলে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটে কীভাবে?
আমি দুই সন্তানের মা। একজনের বয়স সাত বছর, আরেকজনের দুই বছর। যুক্তরাষ্ট্রে একটা সন্তান। ওখানে আমিই চালক, আমিই ধোপা, আমিই সব।
ওখানে কি অভিনয় করেন?
এখন তো যুক্তরাষ্ট্রে অনেক শিল্পী যায়। স্টেজ শো। আসার আগে আজিজুল হাকিম ভাইয়ের সঙ্গে পাঁচটা মঞ্চের শো করেছি।
গুণী এই শিল্পি দেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রে উভয়ই জায়গায়ই থাকেন। দেশে তিনি বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে থাকেন। একটা সময় তিনি টেলিভিশনে নিয়মিত থাকলেও এখন আর তেমন দেখা মেলে না তার। মাঝে মধ্যে ঈদের গুটি কয়েক নাটকে দেখা মেলে তার।