





পূর্ণিমা এখন আকাশে উড়ছেন। গত তিন দিন ফেসবুকে এই ঢালিউড নায়িকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ






সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা; যাঁরা উপস্থিত ছিলেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ১৯তম আসরে।






হবেন না-ই বা কেন! অভিনয় ছাড়াও পূর্ণিমা যে চমৎকার উপস্থাপনা করতে পারেন, তা কারও জানা






ছিল না। প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফেরদৌসের সঙ্গে এক মঞ্চে সপ্রতিভ উপস্থাপনা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন তিনি।






গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছিল এ আয়োজন। একঝাঁক সহশিল্পী নিয়ে নৃত্যে-বাদ্যে হল অব ফেমের মঞ্চে ফেরদৌস-পূর্ণিমার প্রবেশ ছিল জমকালো। একে একে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও পুরস্কার তুলে দেওয়া অতিথিদের ডেকে নেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা। ফাঁকে ফাঁকে রসময় আলাপ ও দুষ্টুমিতে মিলনায়তন–ভরা দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন পূর্ণিমা। মঞ্চে সেরা পুরস্কারজয়ী পরিচালক অমিতাভ রেজাকে বলেন, ’ভাইয়া, আপনার পরের ছবি গুটিবাজিতে আমাকে নেবেন?’
উপস্থাপনায় প্রায় নিয়মিত অভিনেতা ফেরদৌসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে এত ভালো করলেন? পূর্ণিমা বলেন, পাণ্ডুলিপি হাতে পেয়ে এক সপ্তাহে প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ’আমি আসলে সংশয়ে ছিলাম। শুরুতে তেমন আত্মবিশ্বাস ছিল না। তবে ফেরদৌস যেহেতু সঙ্গে ছিল, ভেবেছিলাম উতরে যাব। কারণ সে আগেও দুবার এই আয়োজন উপস্থাপন করেছে। মঞ্চে আমি কী করেছি, সেটা তখন বুঝিনি। পরে সবার ফোন, খুদে বার্তা পেয়ে বুঝেছি, ভালো কিছুই হয়েছে। তিশা ফোন করে বলেছে, “আপু, কী দেখাইলা!” প্রশংসা করে অনেকে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন, পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে।’
অভিনেতা নরেশ ভূঁইয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ’উপস্থাপিকা হিসেবে অসাধারণ এক পূর্ণিমাকে দেখলাম। সবকিছুতেই তাঁর প্রতিভা, মেধার প্রতিফলন দেখেছি। বাংলাদেশের সিনেমার একজন নায়িকার কাছে যা কল্পনাও করতে পারি না।’ নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ’অনেক বছর পর আনন্দ নিয়ে দারুণ এক অনুষ্ঠান দেখলাম। পূর্ণিমাকে দেখে আমি মুগ্ধ। তিনি ভালো অভিনেত্রী, সবাই জানেন। কিন্তু এত ট্যালেন্টেড! উপস্থাপনা অনেক কঠিন কাজ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখতে হয়। যা সত্যিই ঘটেছিল। হ্যাঁ, আমি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৬ বর্ণিল অনুষ্ঠানের কথাই বলছি।’
তবে অভিনেতা ফেরদৌসও কম যাননি। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনায় তিনি প্রায় পেশাদার। পূর্ণিমার পাশাপাশি তিনিও প্রশংসিত হয়েছেন সমানভাবে। উপস্থাপিকা ফারহানা নিশো ফেসবুকে লিখেছেন, ’ফেরদৌস ভাই এবং পূর্ণিমা, আমি তোমাদের খাওয়াব। কবে খাবে তারিখ বলো।’ ’মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৬’-এর মূল অনুষ্ঠান মাছরাঙা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। এ ছাড়া একই আয়োজনের লালগালিচা পর্ব একই চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায়।eibarta