Home / মিডিয়া নিউজ / আজ সালমান ভাই বেঁচে থাকলে আমার এই দশা হতো না : মতি

আজ সালমান ভাই বেঁচে থাকলে আমার এই দশা হতো না : মতি

বাংলা সিনেমা জগতের পথিকৃৎ সালমানশাহ নব্বইয়ের দশকে স্টাইলিশ হিরোদের তালিকায় সবার

উপরে ছিল তার নাম এবং ওই সময়টাতে ব্যক্তিত্ব এবং পোশাকের যে একটা বহিঃপ্রকাশ এবং সময়ের

সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় এই বিষয়টা লক্ষ করা যেত সালমান শাহ

এর মধ্যে। ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা তিনি দিয়ে গেছেন যেগুলোর বেশিরভাগই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং তার অভিনয় দক্ষতা আর ব্যক্তিত্বের প্রশংসায় এখনো শোনা যায় লোকমুখে বাংলাদেশের সিনেমা প্রেমের এখনো সালমান শাহ বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন

গত কয়েকমাস ধরে কাজকর্ম নেই। এফডিসি থেকে কিছু ত্রাণ পেয়েছিলাম, তা দিয়ে কোনোরকম খেয়ে বেঁচে আছি। পাঁচ মাসের বাসা ভাড়া বাকি। প্রত্যেকদিন বাসায় ঢুকলেই বাড়িওয়ালার বাজে কথা নীরবে শুনে যাচ্ছি। বাসায় পাঁচ কেজি চাল ছাড়া আর কিছু নেই। কী’ভাবে চলবো বুঝতেছি না। অন্য কোনো কাজও পাচ্ছি না। আজ সালমান ভাই (সালমান শাহ) বেঁচে থাকলে আমা’র এই দশা হতো না।’ নিজের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই বলেন প্রোডাকশন বয় মতিউর রহমান মতি।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে এফডিসিতে পা রাখেন মতি। বয়ের কাজ করে কোনোমতে চলে তার সংসার। নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ অ’ভিনীত ’স্নেহ’ সিনেমা’র প্রোডাকশন বয়ের কাজ করেন মতি। মতির বয়স তখন ১২ বছর। প্রথম দিন পানি দিতে গেলে নাম জানতে চান সালমান শাহ। সেদিনই এই নায়কের সঙ্গে মতির প্রথম আলাপ। এরপর থেকে মতিকে সঙ্গেই রাখতেন সালমান শাহ।

করো’নার এই দুর্দিনে সালমান শাহর অভাব অনুভব করছেন মতি। তার ভাষায়—’আমা’র একবার জ্বর হয়েছিলো, খবর শুনে সালমান ভাই আমা’র বাসায় এসেছিলেন। ভাই বেঁচে থাকলে আমা’র অভাবে থাকতে হতো না। এখনকার কোনো শিল্পী আমা’র খোঁজ নেয় না।’

এক ঘটনা বর্ণনা করে মতি করে বলেন, ’’এফডিসির কাছে ভাড়া বাসায় থাকতাম। জ্বর হওয়ার কারণে কয়েকদিন এফডিসিতে যেতে পারিনি। কয়েকদিন না দেখে ভাই খবর নিয়ে জানতে পারেন—আমা’র জ্বর। খবর শুনে রাতে আমা’র বাসায় চলে আসেন। এসে অনেক রাগ করলেন। কারণ আমি ভাইকে কেন খবর দিইনি। ভাই তখন ’পিয়াসী’ সিনেমা’র শুটিং করছিলেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও আমা’র বাসায় আসছিলেন। যখন যা চাইতাম তাই দিতেন।’’

তিনি আরো বলেন, ’ভাই আমাকে খুব পছন্দ করতেন। আদর করতেন। আমি দেখতে মোটেও সুন্দর না, অ’পরিচ্ছন্ন ছিলাম। তারপরও ভাই আমাকে তার কাছে ডাকতেন। আমি গোসল কম করতাম বলে তিনি আমাকে জো’র করে গোসল করিয়ে দিতেন। মাঝে মাঝে শরীর মুছেও দিতেন। ভাই অনেক সময় আমা’র পাশেই ঘুমিয়ে পড়তেন।’

মতির বয়স এখন ৩৭ বছর। তার মে’য়ে মাদ্রাসায় পড়ে। ছে’লের বয়স চার বছর। পরিবার নিয়ে মগবাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। করো’নার কারণে চলচ্চিত্রের কোনো কাজ নেই। কর্মহীন মতির অভাব-অনটনে দিন কাটছে।
মতি বলেন, ’শাবনূর আপাও আমা’র খোঁজ-খবর নিতেন। তিনি দেশে থাকলে তাকে ফোন দিতাম। তিনিও দেশে নেই। তাই আমা’র অবস্থা খা’রাপ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি কাজের কথা চলছে। সেগুলো হলে সমস্যা কিছুটা কমবে।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে কিংবদন্তি অভিনেতা ছিলেন সালমান শাহ। তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে এসেছিলেন ধূমকেতুর মতো এবং খুবই অল্প সময়ে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন নব্বইয়ের দশকে তার অভিনীত সিনেমাগুলোর ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছিল এবং অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা আর ব্যক্তিত্বের নজর কেড়েছিলেন অভিনেতা সালমান শাহ তবে বেশিদিন তার চলচ্চিত্রাঙ্গনে থাকা হলো না অবশেষে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে

About Reporter Zara

Check Also

তাহসানকে নিয়ে গুঞ্জন, শাওনের দ্বিতীয় বিয়ে কবে?

প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল তার বিয়ের। শোনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

No comments to show.