Home / মিডিয়া নিউজ / আমি হাতখরচও পেতাম না, নিজের টাকায় প্রথম মোবাইল কিনেছিলাম কলেজ শেষ করে:দিপিকা

আমি হাতখরচও পেতাম না, নিজের টাকায় প্রথম মোবাইল কিনেছিলাম কলেজ শেষ করে:দিপিকা

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তিনি বর্তমান সময়ে যেসব নায়িকারা বলিউড

কাঁপাচ্ছে তাদের মধ্যে সবার সেরা। দীপিকা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেত্রী

দের মধ্যে একজন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তার দাপট বলিউডে চলছে। অসাধারণ অভিনয় গোল

এবং নজরকাড়া গ্ল্যামার সে মুগ্ধ করে রাখেন তিনি দর্শকদের। সাম্প্রতিক সময়ে তার কিছু ছবি এবং কিছু কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই দর্শক এবং তার ভক্তদের

৪ জানুয়ারি। বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের জন্মদিনের আগের রাত। একের পর এক সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছেন তিনি। এরই ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলের লবিতে কেক কাটলেন এই বলিউড তারকা। এরপর জন্মদিনের সকালেই উড়ে গেলেন লক্ষ্ণৌতে। তাঁর এত ব্যস্ততা ছপাক ছবির প্রচারণার কারণে। কাজপাগল দীপিকার জন্য এটাই নাকি জন্মদিনের সবচেয়ে দারুণ উদ্‌যাপন। ছপাক, বিয়ের পর দ্বিতীয় জন্মদিন আর ব্যক্তিজীবন নিয়ে দীপিকার সঙ্গে আমাদের কথা হয়।

: বিয়ের পর আপনার এটা প্রথম ছবি। গ্ল্যামারাস রূপ থেকে বেরিয়ে এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপ নিলেন কী ভেবে?
দীপিকা পাড়ুকোন: আমি একে কখনোই সাহসী পদক্ষেপ বলতে পারি না। কারণ, এ ধরনের চরিত্র সচরাচর লেখা হয় না। আমি এমন সব চরিত্রের সন্ধানে থাকি, যার একটা গুরুত্ব আছে। যে চরিত্র মানুষ ও সমাজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমি মানছি বলিউডের ছবিতে নায়িকাদের খুব সুন্দর করে পরিবেশন করার একটা অভ্যাস আছে। আমি সৌভাগ্যবান যে আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ছপাক–এর ’লক্ষ্মী’র মতো চরিত্র লেখা হয়েছে। এ জন্য আমি মেঘনা গুলজারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ছবিতে কোনো বার্তা থাকতেই হবে, তা জরুরি নয়। কিন্তু সিনেমা সমাজে কোনো না কোনোভাবে তো প্রভাব ফেলতেই পারে। সেটার জন্য বার্তা জরুরি নয়, চেষ্টাটাই মূল।দীপিকা

: আপনার কি মনে হয় লক্ষ্মী হয়ে ওঠা আপনার জন্য সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল?
দীপিকা: আমি এ পর্যন্ত অনেক ছবি করেছি, যা আবেগের দিক থেকে মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আজ অবধি কোনো চরিত্র আমাকে এভাবে আবেগতাড়িত করতে পারেনি। কিন্তু ব্যক্তিগত দিক থেকে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার ’লক্ষ্মী’র চরিত্রে অভিনয় করা খুবই কষ্টকর ছিল। চ্যালেঞ্জিং তো বটেই।
: চরিত্রটি আপনার জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে?
দীপিকা: ’লক্ষ্মী’ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক মেয়ে। চরিত্রটি অনেকের জন্যই প্রেরণদায়ী। আমার ওপর চরিত্রটি অনেক প্রভাব ফেলেছে। আমি মনে করি না যে যাঁরা অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত, তাঁদের আমাদের থেকে সহানুভূতির প্রয়োজন। আমাদের বোঝা উচিত, একজন অ্যাসিডে আক্রান্তকারী প্রতিবন্ধী নন। আমরা যা যা কাজ করতে পারি, তারাও তা করতে পারে। আমাদের প্রচেষ্টা ও প্রত্যাশা হলো, অ্যাসিডে আক্রান্ত মানুষের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যেন বদলায়।

: আপনার এই ১০ বছরের অভিনয়জীবনকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
দীপিকা: আমার কাছে এটা একটা শিক্ষণীয় সফর। গত ১০ বছরে আমি অনেক কিছু শিখেছি। প্রতিটি ছবির মাধ্যমে আমি আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি চাই আমার আগামী ২০ বছর যেন এ রকমই হয়। একজন ব্যক্তি ও শিল্পী হিসেবে আমি সব সময় কিছু না কিছু শিখতে থাকি। প্রতি মাসে আমি নিজের মধ্যে কিছু না কিছু পরিবর্তন দেখতে চাই। তা না হলে আমার একঘেয়ে লাগে। অদ্ভুত এক জড়তা পেয়ে বসে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেকে আমার দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করত। তখন আমি এসব নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতাম না। আমি এসব কথা শুনতাম। নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টায় লেগে থাকতাম।
: খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেই কি আপনার চিন্তাভাবনা এ রকম ইতিবাচক?
দীপিকা: একদম তাই। খেলোয়াড়দের দৃষ্টিভঙ্গি আর সবার চোয়ে অনেক আলাদা হয়। আমি চাই, আমাদের দেশের তরুণেরা যেন কোনো না কোনো খেলার সঙ্গে যেন যুক্ত থাকেন। এর ফলে মানুষের ব্যক্তিত্বে অন্য রকম পরিবর্তন আসে। খেলাধুলা আমাকে পরিশ্রম করতে ও শৃঙ্খলায় থাকতে শিখিয়েছে।

দেবারতি: আজ আপনি সফল নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম। আপনার কাছে সফলতার পরিভাষা কী?
দীপিকা: সফলতাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা জরুরি। এমন অনেককে দেখেছি, যাঁরা রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেননি।

: ছপাক ছবির মাধ্যমে আপনি প্রযোজনার দুনিয়ায় পা রাখলেন। একজন প্রযোজক হিসেবে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়ন কী?
দীপিকা: একজন প্রযোজক হিসেবে অর্থকড়ির দিকটা আমি ভালোই বুঝি। সঠিক জায়গায় পয়সা খরচ করা জরুরি। আমি হয়তো অতটা ব্যবসায়িক নই। তবে প্রযোজক হিসেবে কলাকুশলীদের খেয়াল আমি রাখি। আমি মনে করি খুব ছোটবেলাতেই আমি টাকার মূল্য বুঝেছি। আমি খুবই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমি হাতখরচও পেতাম না। যখনই কোনো জিনিসের জন্য মা–বাবার কাছে বায়না করতাম, তাঁরা বলতেন যে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেই আমাকে সেটা দেবেন। আমি অবাক হই যে এখন বাচ্চারা কোনো জিনিসের জন্য একটু বায়না করলেই মা–বাবারা তা সন্তানদের হাতে তুলে দেন। এখন প্রায় সব বাচ্চার হাতে মোবাইল দেখতে পাই। আমি নিজের টাকায় প্রথম মোবাইল কিনেছিলাম কলেজ শেষ করে। কিন্তু ছোট বাচ্চারাও এখন একে অপরের সঙ্গে আড্ডা কম, মোবাইলে বেশি ব্যস্ত থাকে। ডিনার টেবিলেও সবাই মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। অনেকে বলবেন যে আমি এখনো মা হইনি বলে এত বড় বড় কথা বলছি। কিন্তু আমি আমার সন্তানের ক্ষেত্রে আমার মা–বাবার অনুশাসন অনুসরণের চেষ্টা করব।

: আপনার মা হওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়—
দীপিকা: (লাজুক হাসি হেসে) আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে যে আমি মা হতে চলেছি?

সেলিব্রিটিদের জীবন বরাবরই একটু ভিন্নরকম অথবা বলা যায় বৈচিত্র্যপূর্ণ। সাধারণ আর দুই একটা মানুষের মত তাদের জীবন নয়।এর কারণ হচ্ছে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের কথা কখনোই প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন না ব্যক্তিজীবনে যায় ঘটে যাক হাসি দুঃখ কান্না বেদনা যা কিছুই ঘটে না কেন সেটা নিজেদের মধ্যেই তারা চাপিয়ে রাখেন কখনোই ব্যক্তিগত জীবনের আচ নিজেদের পেশাগত জীবনে লাগতে দেন না। তবে সাধারণ মানুষের মতই তাদের দিন যাপন। অতীতের তাদের চাপা কষ্ট দুঃখ বেদনা অনেকেরই থাকে

About Reporter Zara

Check Also

তাহসানকে নিয়ে গুঞ্জন, শাওনের দ্বিতীয় বিয়ে কবে?

প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল তার বিয়ের। শোনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

No comments to show.