





শামীম আহমেদ এক হাজারেরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন। প্রায় ২৬টি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে।






তার প্রথম সিনেমা ছিল ’জীবন মরণের সাথী’। শাকিব খানের বন্ধু চরিত্রে কাজ করেছিলেন। এরপর






একে একে শাকিবের সঙ্গে আরও অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। নাটক কিংবা সিনেমাতে তাকে






কমেডিয়ান চরিত্রেই বেশি দেখা যায়। শামীম আহমেদ বলেন, নাটক কিংবা সিনেমাতে হিরো-হিরোইনরা ছাড়া আর কোন চরিত্র তেমন একটা গুরুত্ব পায় না এখন পরিচালকদের চোখে। প্রয়োজনে পরিচালকরা চান হিরো-হিরোইনদের দিয়েই পুরো কাজ শেষ করে দিতে।
শামীম আহমেদের অভিনয়ের পথচলার শুরু ১৯৯৯ সালে ’বন্ধন’ ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে। ’বন্ধন নাটকের প্রোডাকশন ম্যানেজার ছিলেন শামীম। সেই নাটকে একটা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি আফসানা মিমির অনুরোধে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তার। অভিনয় করে চলেছেন এখন পর্যন্ত। তবে অনেক শিল্পীই আজ তারকা কিংবা অভিনেতা বনে যাওয়ার পর নিজের পেছনের গল্পটা বলতে চান না। কিন্তু এদিক থেকে অভিনেতা শামীম একটু অন্যরকমের। নিজের পেছনের কথাও অকপটে স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে শামীম বলেন, ’মানুষ পিছনের কথা বলে না কখনও। আমি সবসময় সত্যবাদী। মাছরাঙা প্রোডাকশন হাউজের মালিক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু স্যার একবার আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন আমার সত্যবাদীতার জন্য। কারণ একদিন আমি আমার ইতিহাস জানাতে গিয়ে উনাকে বলেছিলাম যে আমি পকেটমার ছিলাম, রিকশা চালাইছি শহরে শহরে। আমি অভাবী ঘরের মানুষ। অভাব ছিল। সঙ্গ দোষে নানা পথে হেঁটেছি। মূল কথা হলো আমি সব মন্দা কাটিয়ে নিজেকে একটা ভালো পথে চালিত করতে পেরেছি। পরিশ্রম করে, নিজের মেধা ও সৃষ্টিশীলতা দেখিয়ে হালাল পয়সায় বেঁচে আছি। এটা আমাকে শান্তি দেয় খুব। লুকিয়ে রাখলে তা রাখতে পারতাম। চাপা মেরে বলতে পারতাম আমার বাবা জমিদার ছিল। আমি দেখেছি সত্য শুনে মানুষ অবাক হলেও সেটাকে সবাই খুব সহজে গ্রহণ করে ও মেনে নেয়। সম্মান করে সত্যকে।’
বিডি২৪লাইভ