





দুই বছর ধরে এই ইচ্ছে পুষে রেখেছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। শুরু করবো করবো করেও করা






হচ্ছিলনা। এই করোনাকালে সেটাই শুরু করছেন তিনি। করোনাকালীন এই অবসরে পুরোপুরি কৃষিকাজে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানালেন জ্যোতিকা জ্যোতি।






এটা অবশ্য অভিনয় ছেড়েছুড়ে নয়। অভিনয় তো করবেনই সেই সঙ্গে তিনি অ্যাগ্রো ফার্মের কাজও করবেন। জ্যোতির খামারের নাম রাখা হয়েছে ‘খনার বচন’।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান কৃষি কাজ করার বিষয়টি। তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে তিনি বলে এসেছেন, কোনো একসময় কৃষিকাজে হাত দেবেন। করোনার জন্য এ সুযোগ একটু আগেভাগেই ধরা দিল তাঁর কাছে। ৪ আগস্ট তিনি অ্যাগ্রো ফার্মের কাজ শুরু করেছেন। কৃষিকাজে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘গত দুই বছর নানা রকম পরিকল্পনা মাথায় কিলবিল করছিল। যান্ত্রিকতার বাইরে কী করা যায়, তা নিয়ে নিজের মতো করে একটু পড়াশোনা আর রিসার্চ করলাম। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির এবং আমার পেশাগত কাজের নড়বড়ে অবস্থায় বসে থেকে বিষণ্ন না হয়ে দ্রুত মাঠে নামলাম।’
এ জন্য দুই মাস ধরে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। পুরোপুরি সব পরিকল্পনা শেষ করে এখন তিনি ব্যস্ত আছেন একটি দক্ষ কাজের দল গঠন এবং উর্বর জমি তৈরি করতে। এ কাজের জন্য তিনি বেছে নিচ্ছেন গ্রামের সেই সব মেধাবী তরুণদের, যাঁরা ডুবে আছেন ফেসবুকের ভার্চ্যুয়াল জগতে।
জ্যোতিকা জ্যোতি আরও বলেন,‘বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপটে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত গ্রামের একজন তরুণের পক্ষে ভালো একটি চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। এসব কারণেই তরুণদের কাজের জায়গাটা উন্মুক্ত রেখে তাদের সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছি।’
তার এই ফার্মে কেউ কর্মী হিসেবে কাজ করবে না; বরং সবাইকে উদ্যোক্তা হিসেবে উৎসাহিত করতে তিনি সহকর্মীদের অংশীদার হিসেবে যুক্ত করছেন। তার এ কাজে যিনি যে বিষয়ে আগ্রহী ও দক্ষ, তাকে সে বিষয়ে কাজের দায়িত্ব দিতে চান। এ উদ্যোগকে অনেক তরুণের অভিভাবক ‘লস প্রজেক্ট’ ভাবছেন। যে কারণে এ পেশায় সন্তানদের কাজে যুক্ত হওয়া নিয়েও অনেকেই দ্বিধায় আছেন। অনেক অভিভাবক চান না সন্তানেরা কৃষিকাজে যুক্ত হোক। সেসব দুশ্চিন্তাকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষিকাজকেই লাভ এবং সম্মানজনক পেশা মনে করে সামনে এগোতে চান জ্যোতি।
এদিকে করোনাকালে জ্যোতিকা জ্যোতি অভিনীত ‘অনিল বাগচীর একদিন’ ছবিটি একটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে।