





স্বামী হারানোর একাকীত্ব দূর করতে অনেক তারকা নতুনভাবে সংসার শুরু করার পরিকল্পনা করেন।






কিন্তু এই পথে হাঁটতে চান না জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। কেননা, স্বামী হুমায়ূন






আহমেদের রেখে যাওয়া স্মৃতি ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটাতে চান তিনি। তাই






নতুন করে আর বিয়ে করার পরিকল্পনা নেই তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি।






নতুন করে সংসার করার পরিকল্পনা আছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে শাওন বলেন, আমি মনে করি না যে, হুমায়ূন মারা গেছেন। সব সময় আমার কাছে থাকেন। আমাকে এখনও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন। আমি কীভাবে চলব। কীভাবে সন্তানদের লালন পালন করব। বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি আমার দুই সন্তান ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের বাকিটা সময় পার করতে চাই। তিনিই আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। আমার কেন যেন এখনো বিশ্বাস হয় না যে, হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে নেই।
হুমায়ূনহীন সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বামীকে হারিয়ে একজন স্ত্রী যেমন থাকে শাওন ঠিক তেমন আছে। আমি হুমাযূনকে প্রতিটা মুহুর্ত অনুভব করি, স্মরণ করি। এখনও অনুভব করি সে আমার সঙ্গেই আছেন। সারাদিন কাজে ব্যস্ত সময় পার করার পর আমি যখন রাতে রুমে যাই তখন মনে হয় এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। আমার মনের কথা বলার মতো কোন মানুষ নেই। তখন অনেক শূণ্যতা অনুভব করি। তবে আমার দুই সন্তান আমার কাছে আসলে আমি সব শূন্যতা ভুলে যাই। আমি আমার সন্তানদের বলি তোমাদের যখন বিয়ে বা সংসার হবে তখন কিন্তু আমি তোমাদের কাছে থাকবো।
দুই ছেলে সাথে নিজের বর্তমান সময় প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, আগের নিয়মের এতটুকু ব্যতিক্রম হয়নি। আগের নিয়মই বহাল আছে। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে যে নিয়ম ছিল বাসার দরজা সব সময়ই খোলা থাকত। সেই নিয়মেই বাসার দরজা খোলা থাকে। এখন দুই সন্তান ও সাহিত্যের জগৎ আর নুহাশ পল্লীর দেখভাল করা নিয়েই সময় কাটছে। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে দুটি সন্তান দিয়ে গেছেন। বড়টা হয়েছে ওর বাবার মতো। কম কথা বলে। কিন্তু মাথায় দারুণ বুদ্ধি। মাঝে মাঝে আমাকে এমন সব প্রশ্ন করে বসে যে, আমি অবাক হয়ে যাই। ভাবি হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে ছেলের মুখে বুদ্ধিদীপ্ত সব প্রশ্ন শুনে যারপরনাই অবাক হতেন। ছেলেরা আমাকে একটুও মন খারাপ করতে দেয় না। বিশেষ করে নিষাদ যেন সারাক্ষণই আমাকে হাসিমুখে দেখতে চায়। নিনিতের আবদার বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা… একটু রাত অবধি ছেলেদের নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে দারুণ বস্ত সময় কাটে আমার।
নিজের অবসর সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবসর খুব একটা পাই না। যতটুকু পাই এসময় বই পড়ি, বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াই। এছাড়া অধিকাংশ অবসর কাটে ঘুমিয়ে।