





জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ঈদের নাটক নিয়ে তুমুল ব্যস্ততা যাচ্ছে তার। প্রতিদিনই ছুটে






চলেছেন কোনো না কোনো নাটকের কাজে। শুটিং সিডিউল এতোই দীর্ঘ হয়েছে যে আগামী কোরবানির






ঈদের মধ্যেও নতুন কোন চুক্তিতে যেতে পারছেন না তিনি। কারণ ইতিমধ্যে অন্যদের সিডিউল
দিয়ে ফেলেছেন। যদিও বেশিরভাগ নির্মাতার প্রথম চাহিদা মোশাররফ করিম।
এদিকে অভিনয়ই মোশাররফ করিমের নেশা ও পেশা। তাই প্রতিনিয়ত এটি উপভোগ করেন তিনি। যদিও ঈদের সময় একটু বেশি চাপ পড়ে যায়। তবে চেষ্টা করেন চাপ সামলে কাজটাকে উপভোগ করতে। কাজটাকে উপভোগ না করলে নিজের শতভাগ উজাড় করে দেওয়া যায় না। আর শতভাগ উজাড় করে কাজ না করলে তা হয় দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই সব সময় নিজের কাজকে ভেতরে ধারণ করে তা করার চেষ্টা করেন তিনি।
প্রতিটি উৎসব-পার্বণে অসংখ্য নাটক প্রচার হয় মোশাররফ করিমের। কিন্তু নিজের অভিনীত সব নাটক দেখা হয় না তারা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে থাকে নিজের কাজগুলো দেখার। কিন্তু সব কাজ দেখা হয়ে ওঠে না। আসলে ঈদের আগে টানা শুটিং করে ঈদের পর যেটুকু সময় পাই তা নিজেকে ও পরিবারকে দেওয়ার চেষ্টা করি। মানুষকে বিনোদন দেওয়া আমাদের কাজ হলেও আমরাও তো মানুষ। আমাদেরও তো অবসর প্রয়োজন। তবে এর মাঝেও চেষ্টা করি নিজের কিছু কাজ দেখতে। কখনও একা দেখি কখনও বা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে।’
মোশাররফ বলেন, ‘আমার বাস্তব জীবন একজন সাধারণ মানুষের মতোই। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে বের হই; ঘরে ফিরে পরিবারকে সময় দিই। পরদিনের কী কাজ আছে তাতে একটু চোখ বুলিয়ে ঘুমাই। অবসরে পরিবারকে নিয়ে দেশে বা দেশের বাইরে ঘুরতে যাই।’
অভিনয়ের পাশাপাশি এখন উপস্থাপনাও করছেন মোশাররফ করিম। সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে নির্মিত ‘জাগো বাংলাদেশ’র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘টেডএক্স’ ও ভারতের ‘সত্যমেভ জয়তে’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রচারিত হচ্ছে ‘জাগো বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানটি। তবে অনুষ্ঠানকে শুধু উপস্থাপনা নয়, নিজের সামাজিক দায়িত্ব হিসেবেও মনে করেন এ অভিনেতা।