





দেশের ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। তার অভিনীত প্রথম নাটক অতিথি।






তিনি বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র জয়যাত্রা।






পরবর্তীতে তিনি রূপকথার গল্প (২০০৬), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭), থার্ড পারসন সিঙ্গুলার






নাম্বার (২০০৯), প্রজাপতি (২০১১), টেলিভিশন (২০১৩), জালালের গল্প (২০১৫), এবং অজ্ঞাতনামা (২০১৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০০৪ সালে ছোট পর্দার এ সময়ের আরেক তারকা রোবেনা রেজা জুঁইকে বিয়ে করেন তিনি। তারকা হওয়ার আগে দুইজনই ছিলেন আর আট দশটা সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকার মত।
মোশাররফ করিম জানালেন, বিয়ের চার বছর আগে জুঁইয়ের সঙ্গে তার পরিচয়, এরপর প্রেম এবং বিয়ে। আর দশজনের প্রেমের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়, তাদের জীবনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শুরুতে দুজনের পরিবারই মেনে নিতে পারেনি। তবে একসময় সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিয়ে হয়।
তবে বিয়ে প্রেমের আগের গল্পটা জানালেন মোশাররফ করিম।
কিভাবে ছাত্রী জুঁই, সহধর্মিণী হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম প্রেমে পড়ি শিক্ষকতা করার সময়। সময়টা সম্ভবত ২০০০ সাল হবে। আমি তখন একটি কোচিং সেন্টারে বাংলা পড়াই। ক্লাসের একটি মেয়েকে দেখে আমার ভালো লেগে যায়। সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেব।
কয়েকবার বলার পদক্ষেপও নিয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এভাবে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। এর মধ্যে মেয়েটিও আমার কলিগ হয়ে গেলে। সেও কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া শুরু করলো। তখন ওর সঙ্গে কথা হতো, আড্ডা হতো কিন্তু ‘ভালোবাসি’ এমনটা বলার সাহস হতো না।
সবশেষে বিষয়টি নিয়ে কাছের এক বন্ধুর কাছে যাই। ওকে সব কিছু খুলে বলি। আমার কথা শুনে পরদিনই সেই বন্ধু মেয়েটিকে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে। মেয়েটি তখন ‘হ্যাঁ-না’ কিছুই বলেনি। দু’দিন পরই উত্তর পেয়ে গেলাম। মেয়েটি চিরকুটে লিখে পাঠালো ‘হ্যাঁ, আই লাভ ইউ’। সেই মেয়েটির সঙ্গে এখনও আমার সম্পর্ক আছে। সে আর কেউ নয়, আমার স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁই।
এরপর বছর চার আমরা চুটিয়ে প্রেম করেছি। অবশেষে ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর আমরা বিয়ে করি।